মঙ্গলচন্ডী পূজা পদ্ধতি pdf | Mangal Chandi Puja Vidhi in Bengali

মঙ্গলচন্ডী পূজা পদ্ধতি pdf

মঙ্গলচন্ডী পূজা পদ্ধতি pdf – Mangal Chandi Puja Vidhi in Bengali, মঙ্গলচন্ডী পূজার উপকরণ – মঙ্গলচন্ডী পূজার ফর্দ, মঙ্গলচন্ডীর পূজার মন্ত্র -Mangal Chandi Mantra, মঙ্গলচন্ডীর ব্রত কথা – Mangal Chandi Brata Katha.

PDF Nameমঙ্গলচন্ডী পূজা পদ্ধতি pdf
No. of Pages5
PDF Size111 kb
LanguageBengali
PDF CategoryReligion & Spirituality
Published/Updated 31 May, 2022
Source / Creditsbanglapdf.in
Uploaded ByMyPdf

DOWNLOAD মঙ্গলচন্ডী পূজা পদ্ধতি pdf

আপনি কি সত্যনারায়ণ পূজা পদ্ধতি pdf খুঁজছেন? তাহলে আপনি সঠিক স্থানে এসেছেন। এখানে আপনি সত্যনারায়ণ পূজার উপকরণ, সত্যনারায়ণ পূজার ফর্দ, সত্যনারায়ণ পূজার পাঁচালী, সত্যনারায়ণ পূজার নিয়ম, সত্যনারায়ণ পূজা কি কি লাগে, সত্যনারায়ণ পূজা পদ্ধতি পিডিএফ, সত্যনারায়ণ পূজা বিধি সম্পর্কে সমস্ত কিছু তথ্য এক ক্লিকেই পেয়ে যাবেন।

DOWNLOAD: সত্যনারায়ণ পূজা পাঁচালী pdf

মঙ্গলচন্ডী পূজা পদ্ধতি pdf – Mangal Chandi Puja Vidhi in Bengali

স্নান করে পরিষ্কার বস্ত্র পরিধান করে কুশনে বসে আতপ চাল হাতে নিয়ে “সূর্য্যঃ সোমঃ” পাঠ করে পঞ্চদেবতার অর্চনা করে সংকল্প করতে হবে।

মঙ্গলচন্ডীর পূজার মন্ত্র -Mangal Chandi Mantra

সংকল্প মন্ত্র – বিষ্ণুঃ ওম তৎসদদ্য অমুক মাসে, অমুক পক্ষে, অমুক তিথিতে, অমুক গোত্রঃ, শ্রী নিজের নাম, অমুক গোত্রায়াঃ, শ্রী অমুক দেব্যাঃ জীববদেৎ স্থুলশরীরাবিরোধন সর্ব্বাপচ্ছন্তি পূর্বক শ্রীমঙ্গলচন্ডিকা প্রীতিকামনয়া যথাশক্তি গণপত্যাদি নানাদেবতা পূজা পূর্বক শ্রীমঙ্গলচন্ডিকা পুজনমহং করিষ্যামি।”

মন্ত্র পাঠ করার পরে ঈশান কোণে জল ঢালতে হবে।

মঙ্গলচন্ডী পূজার উপকরণ – মঙ্গলচন্ডী পূজার ফর্দ

কলার গোটা পাতা, কচুপাতা, বিল্বপত্র, শ্বেত চন্দন, রক্ত চন্দন, প্রদীপ, ঘট, আমডালি, কলা, সিঁদুর, গামছা, ধান, বসার জন্য পিঁড়ে, পান, দুধ, ফুলের মালা, তিল, হরতকি, ফুল-দূর্বা ঘাস, বেলপাতা, তুলসীপাতা, ধুপ বা ধূপকাঠি, দধি, গব্যঘৃত, পাঁচ প্রকার ফল, ইত্যাদি।

মঙ্গলচন্ডীর ব্রত কথা – Mangal Chandi Brata Katha

পয়ার। শ্রী শ্রী মঙ্গলচন্ডিকা করিতে পূজন।বন্দনা করিনু পদ সত্যনারায়ণ ।।
মহামায়া রূপে দেবী বিরাজ ভুবনে। শত কোটি নমস্কার রাতুল চরণে ।।
অপূর্ব্ব সুন্দরী দেবী অতসী সুবালা। পরিহিতা ক্ষৌমবস্ত্র কনক মেখলা ।।
মণিময় মুকুট শোভিছে শিরোদেশে। ললাটে সিন্দুর শোভে অলকা বিশেষে।।
গলদেশে সাজে কিবা গজমতি হার। অঙ্গে শোভে নানাবিধ দিব্য অলঙ্কার ।।
অনুগত জনে রক্ষা করগো ভবানী। তুমি যে অভয়া দেবী জগৎ -জননী ।।
ত্রিপদী। নমঃ নমঃ মহামায়া ,দাও ওগো পদছায়া ,মঙ্গলচন্ডিকা ভগবতী।
ত্রিভুবন সুপালিতা ,দেব -দেবিগণ মাতা ,পদে তব কোটি কোটি নতি ।।
সত্বঃ রজঃ তমোগুণে ,বিরাজ সকল মনে ,কি কব মা তোমার মহিমা।
কি আছে এমন কথা ,বলিতে পারি ‘মা ‘হেথা,নাহি জানি কোথা তব সীমা ।।
কে না জানে সেই গ্রাম ,উজানি নগর ধাম ,বাস করে কত ব্রতধারী।
তথায় করে বসতি ,সদাগর ধনপতি , ‘লহনা ‘ ‘খুল্ল্না ‘ যার নারী ।।
লহনা সতিনী ছলে ,খুল্লনারে দুঃখে ফেলে ,মিথ্যা দোষ পতিরে কহিল।
ধনপতি ঞূদ্বমতি ,ক্রোধেতে খুল্লনা প্রতি ,ছাগল রক্ষণে নিয়োজিল ।।
ছিল বিধাতার মনে ,হারাইল ছাগ বনে ,ভীত হয়ে কান্দে সেই সতী।
হয়ে উন্মাদিনী পারা ,কাঁদিয়া হইল সারা ,কিবা হবে আমার দুর্গতি ।।
হায় মোর দগ্ধ ভাল ,ছাগল হারায়ে গেল ,কর হানে নিজ কপালেতে।
পতিকে বিরূপ করে ,সতিনী কৌশল করে ,কেন এনু ছাগল চড়াতে ।।
কাঁদিছে আপন মনে ,উলুধ্বনি রব শুনে ,ত্বরা করি যায় সে স্থানেতে।
দেখে সব নারীগনে ,ব্রত করে ফুল্লমনে ,পূর্ণঘট রাখিয়া সাক্ষাতে ।।
জিজ্ঞাসে খুল্লনা সবে ,কোন ব্রত কর এবে ,জানিবারে মম মন হয়।
কহে তবে নারীগণ ,শোন্ ব্রত বিবরণ ,মঙ্গলচন্ডিকা এরে কয় ।।
এই ব্রত যেবা করে ,ধনে জনে সেই বাড়ে ,সর্ব্বদুঃখ নাশ তার হয়।
দূরে যায় সর্ব্ব বিঘ্ন ,অভিলাষ হয় পূর্ণ ,নাহি থাকে সমনের ভয় ।।
শুন বলি কহি হেতু ,ছিল ব্যাধ কালকেতু ,তারে কৃপা করিলা কেমনে।
মৃগের পশ্চাতে ধায় ,ভয়ে সে মৃগ পলায় ,শরণ নিল চন্ডিকা চরণে ।।
মৃগেরে অভয় দিয়ে ,কনক গোসাপ হয়ে ,পথ মাঝে রহিলা আপনি।
দেখিয়া কনক সাপে ,নিল ব্যাধ মন সুখে ,যতনেতে রাখে আনি ।।
ভূমিতে রাখিতে তারে ,এক কন্যা রূপ ধরে ,কি কহিব সে রূপের সীমা।
রূপেতে অতুলনীয়া ,যেন ষোড়শ বর্ষীয়া ,সকলের হয় মনোরমা ।।
ভুবন ভুলান রূপ ,ব্যাধ -নারী হয় বিরূপ ,ব্যাধে কহে যত কুবচন।
আনিলে যে মোর ঘরে ,যুবতী কুমারী ধরে ,বুঝি মনে বিবাহ কারন ।।
ব্যাধ কহে একি দায় ,ধরিল কুমারী পায় ,সুধায় সে কেগো বটে তুমি।
চন্ডিকা কহেন ব্যাধ ,গনিওনা পরমাদ ,মঙ্গলচন্ডিকা হই আমি ।।
মহাদুঃখী হেরি তোরে ,আসিয়াছি তোর ঘরে ,তোমা সম নাহি ভাগ্যবান।
এই ধন দিই তোরে ,ভোগ কর সুখে ওরে ,বলি দেবী হন অন্তর্ধান ।।
কলিঙ্গের মহারাজা ,কালকেতু তার প্রজা ,ধন হেরি তাহারে বান্ধিল।
কারাগারে থাকে ব্যাধ ,মনে গনে পরমাদ ,চন্ডিকা দেবীরে সে স্মরিল ।।
বলে মাগো ক্ষেমঙ্করি ,নিজে তুমি দয়া করি ,কেন এবে হলে নির্দয়া।
ধন দিলে তুমি ঘরে ,রাজা যে বাঁধিল মোরে ,বন্ধন ঘুচাও হর জায়া ।।
ব্যাধের ক্রন্দন শুনি ,দেবী ক ‘ন দৈববাণী ,কাঁদিও না বাছনি আমার।
বন্ধন মোচন হবে ,দুঃখ কোন না থাকিবে ,রাজা দিবে বহুধন আর ।।
দয়াময়ী মহামায়া ,অধম তারিণী তারা রাজাকে স্বপ্নেতে দেখা দিলা।
ব্যাধ মোর ভক্তজন ,বাঁধ তারে অকারণ ,স্বপ্নযোগে রাজারে কহিলা ।।
স্বপ্ন হেরি ভয়ে রাজা ,ব্যাধ করে নানা পূজা ,বহু ধনে তুশিলা তাহাকে।
চন্ডিকার দয়া হেতু ,মহাসুখী কালকেতু ,রামাগন কহে খুল্লনাকে ।।
শুনি আদ্যন্ত কাহিনী ,বর চাহে সীমন্তিনী ,বর দিলা যত ব্রতীগনে।
হও পতি সোহাগিনী ,হও যে ব্রতচারিনী ,হারা ছাগ পাইবে এ ক্ষনে ।।
চণ্ডীদেবী কৃপাবলে ,ক্ষনে হেরি ছাগদলে ,মহানন্দে চলে নিজ ঘরে।
উপচার প্রথামত ,মঙ্গলচন্ডিকা ব্রত ,করে সকল মঙ্গলবারে ।।
ধনপতি প্রাণপতি ,তার সাথে রঙ্গে সতী ,খুল্লনা যে গর্ভবতী হলো।
বাণিজ্যেতে পতি যাবে ,শুনিয়া খুল্লনা তবে ,গর্ভকথা স্বামীরে বলিল ।।
শুন ওগো প্রাণপতি ,আমি এবে গর্ভবতী ,এ বারতা কহিনু তোমাকে।
গর্ভ শুনি ছয় মাস ,সাধু মনে বহু আস ,লিপি লিখি দেয় খুল্লনাকে ।।
লিপি লেখে ধনপতি ,পুত্র হলে যে শ্রীপতি ,কন্যা হলে লীলাবতী নাম।
সাধু মাঝি মাল্লায় নিয়া ,বার ডিঙ্গা সাজাইয়া ,বাণিজ্যেতে করিবে প্রস্থান ।।
যাত্রাকালে খুল্লনারে ,ডাকে সাধু আসিবারে ,খুল্লনা পূজে চন্ডিকায়।
আসিতে বিলম্ব দেখি ,হয়ে সাধু রক্ত আঁখি ,চন্ডি ঘট ভগ্ন করি যায় ।।
খুল্লনায় প্রাণ তায় ,কান্দি শোকে করে হায় ,ভাগ্য পুনঃ বিমুখ হইল।
বহুক্ষণ কান্দি সতী ,ভগ্ন ঘটে করি নতি ,চন্ডিকারে মার্জনা চাহিল ।।
আমি অতি অভাগিনী ,জানো মাগো অন্তর্য্যামী ,পুনঃ আমি পূজিব তোমায়।
চন্ডিকা ক্রোধেতে হায় ,সাধুর নৌকা ডোবায় ,বার ডিঙা সাগরের তলায় ।।
খুল্লনার নিষ্ঠা তরে ,সাধু নাহি প্রাণে মরে ,ভেসে উঠে সেই সে একাকী।
শালিবান রাজপুরে ,উপনীত ধীরে ধীরে ,পথে এক অপরূপ দেখি ।।
কমল উপরে বসি ,গজ গিলে এক রূপসী ,হেরি আসি বলিলা রাজাকে।
রাজা না হেরিতে পায় ,সাধুরে বাঁধিল তায় ,সাধু পরে বিষম বিপাকে ।।
খুল্লনা কাতরা হয়ে ,হেথা পূজে চন্ডিকা মায়ে ,বেঁচে যেন থাকে প্রাণপতি।
মঙ্গলচন্ডির বরে ,পুত্র এক প্রসব করে ,নাম তার রাখিল শ্রীপতি ।।
পঞ্চম বৎসর যায় ,শ্রীপতিরে সে পাঠায় ,পড়িবার হেতু গুরুস্থানে।
সহপাঠি ছিল যত ,জারজ বলিয়া কত ,গালি দেয় কঠিন ভাষণে ।।
শুনি বালক শ্রীপতি ব্যথিত হইল অতি ,কেঁদে কেঁদে ঘরে চলে যায়।
বসনেতে আচ্ছাদিয়া ,শুইয়া পড়িল গিয়া ,কি হয়েছে জননী সুধায় ।।
মোর কাছে বল দেখি ,কেন বাছা এত দুঃখী ,শ্রীপতি যে কহে নতশিরে।
বল মাগো বল তুমি, কাহার তনয় আমি ,যথা সত্যি কহিবে আমারে ।।
পুত্রের বচন শুনে ,খুল্লনার পরে মনে ,যাত্রাকালে দিল সাধু লিপি।
পুত্র হলে যে শ্রীপতি ,কন্যা হলে লীলাবতী ,এই নাম দিয়েছিল লিখি ।।
সেই পত্র পুত্র করে ,খুল্লনা দিল সত্বরে ,পাঠ করে শ্রীপতি কুমার।
পড়ি কহে মা ‘র প্রতি ,দাও মাগো অনুমতি ,অন্বেষনে যাইতে পিতার ।।
মাতা ছল ছল আঁখি ,শ্রীপতির যাত্রা দেখি ,অষ্ট তন্ডুল দুর্ব্বা দিল শিরে।
এক কথা বলি শোন্ ,বিপদে পড়িলে যেন ,স্মরণ করিও মা চন্ডিরে ।।
পদধূলি নিয়া মার্ ,চন্ডিকা নাম করি সার ,নৌকা বাহিয়া ত্বরা চলে।
অতিক্রমী নদ নদী ,নৌকা চলে নিরবধি ,পিতা যথা আছে বন্দি সালে ।।
যাইতে যাইতে হায় শ্রীপতি দেখিতে পায় ,কালিদহে পদ্মপরি বসে।
এক কন্যা রূপে ধন্যা ,নয় সে অতি সামান্য ,গজ গিলে উগরে নিমেষে ।।
যে রাজার কারাগারে ,আছে পিতা বাধা ,এই তত্ব বলে সে রাজারে।
রাজা না দেখিতে পায় ,শ্রীপতিকে বেঁধে তায় ,পাঠাইল সেই কারাগারে
শ্রীপতি পড়ি বিপদে ,মঙ্গলচন্ডির পদে ,মন প্রাণ করি সমর্পন।
চক্ষে আসে জল ধারা ,মাকে বলে রক্ষা কর তারা ,মুক্ত কর মোদের বন্ধন ।।
পয়ার। করাল বদনা কালী কালভয় নাশিনী। দুর্গমে স্মরি মা তারা শক্তি সনাতনী ।।
পরাৎপরা পরমা প্রকৃতি পুরাতনী। দুরারাধ্যা ধ্যান সাধ্যা বিন্ধ্যনিবাসিনি
মহিষ মর্দ্দিনী মহোদরী। শিবা নিতম্বিনী শ্যামা -সর্ব্বানী শঙ্করী ।।
গুণময়ী গুনাতিতা সারদা সুন্দরী। ভ্রামরী ভবানী ভীমা ধুমা ক্ষেমঙ্করী ।।
কালী কালহরা কালাকালে কর পার। কুলকুন্ডলিনী কর বিপদে নিস্তার ।।
লম্বোদরী বাঘাম্বরা কলুশনাশিনী। কৃতান্ত দলনী কাল হরবিলাসিনী ।।
স্তব -দুর্গে দুঃখ হরা ,হররানী তারা ,দুর্গতি নাশিনী। শিব আদরিনী ,হয় বিলাসিনী ,শঙ্করী ভবানী ।।
দুরারাধ্যা সাধ্যা ,মা পরমারাধ্যা ,মহিষমর্দিনী। দেবী নিরাকারা ,পরম সাকারা ,তারয় তারিণী ।।
পড়েছি সঙ্কটে ,এসো মা নিকটে ,সারদে সুভদে। কালী কলহরা ,বিবিধাস্ত্র করা ,নিবিড় বিপদে ।।
বরদা অভয়া ,ওগো ভবজয়া ,মাগো শুভঙ্করী। ধনপতি পিতা ,নাহি জানি কোথা ,রক্ষ ক্ষেমঙ্করী ।।
চরণে পড়েছি ,তোমারে ডেকেছি ,দাও পদছায়া ,কিবা বোধ মোর ,কি বুঝি এ ঘোর ,তুমি মহামায়া ।।
সে সাধুর সুত ,এই মত কত ,করিল স্তবন। দয়াময়ী মাতা ,হেরি পুত্র ব্যাথা ,করে আগমন ।।
পয়ার। সুকোমল শয্যাপরে যথা সালিবান। সেইস্থানে চন্ডিমাতা হন অধিষ্ঠান ।।
রাজা প্রতি দেবী কন ওরে রে দুর্জন। বিনা দোষে পুত্রে মম করিলি বন্ধন ।।
নিজের মঙ্গল যদি এখনও চাও। শৃঙ্খল মোচন করি কন্যা বিভা দাও ।।
বিবিধ রতন দান কর ভক্তে মোর। নতুবা নিশ্চয় হবে সর্বনাশ তোর ।।
রাজার সমীপে দেবী এতেক কথনে। ত্বরা গতি যান চলে আপনার স্থানে ।।
প্রাতঃকালে মহারাজ গিয়া কারাগারে। বন্ধন মোচন করে সাধুর কুমারে ।।
বহু যত্নে আনি রাজা শ্রীপতি কুমারে। বসালেন সভা মাঝে সিংহাসন পরে ।।
বিবাহের শুভদিন স্থির করি নিল। শ্রীপতি কুমার সাথে কন্যা বিভা দিল ।।
যৌতুক দিলেন কত না হয় গগন। কহিতে অসক্ত সবে না হয় বর্ণন ।।
বন্দিশালে যায় উভে শশুর জামাই। ধনপতি নাম করে তাহারে সুধাই ।।
রাজ্ -ডাকে ধনপতি সম্মুখে আসিল। শ্রীপতি পিতার তার পরিচয় দিল ।।
আনন্দে উৎফুল্ল সাধু পুত্র মুখ হেরি। আদরে নিলেন তুলে তারে বক্ষোপরি ।।
পিতা পুত্র সম্মিলন আনন্দ অপার। রাজা সালিবান হেরে অতি চমৎকার ।।
সাদরে লইয়া উভে প্রাসাদে চলিল। কতদিন পরে সাধু বিদায় মাগিল ।।
ধন রত্ন দাস দাসী লয়ে অগণন। মহাহ্লাদে সাধু দেশে করিল গমন ।।
তরীতে উঠিয়ে সাধ অতি ফুল্লভরে। উপনীত হল গিয়ে সমুদ্র -মাঝারে ।।
ধনপতি কহে বৎস শ্রীপতি কুমার। এই স্থানে তরী যত ডুবেছে আমার ।।
শ্রীপতি চন্ডিকা স্মরে হয়ে একমতি। করজোড়ে মাগো ভিক্ষা ঘুচাও দুর্গতি ।।
তোমার নামেতে মাতা মাগিনু বিদায়। দয়াময়ী মাতৃনামে কলঙ্ক না হয় ।।
ডুবিয়াছে ধন যত উদ্ধার করিয়া। ভক্তবাঞ্ছা পূর্ণ কর মাগো হর জায়া ।।
চন্ডিকা দেবীর বরে লুপ্ত ধন জন। দেখিতে দেখিতে তরী ভাসে সেইক্ষণ ।।
আনন্দে উৎফুল্ল হ ,ল সাধু ধনপতি। বহু দ্রব্য লয়ে দেশে জাইল ঝটিতি ।।
ঘাটে রাখি তরী যত দূত পাঠাইল। সাধুর গৃহেতে বার্ত্তা তখনি জানাল ।।
বার্ত্তা পেয়ে দ্রুতগতি খুল্লনা যুবতী। পুরাঙ্গনা সাথে লয়ে আসে শীঘ্রগতি ।।
আনন্দ উৎসবে তবে ধন জন লয়ে। নিজ গৃহে গিয়া তথা পূজে চন্ডী মায়ে ।।
পরম আনন্দে জপে সাধু ধনপতি। সুরপতি যথা করে স্বর্গেতে বসতি ।।
দেশবাসী পূজে তারে রাজা এই জ্ঞানে। জরা ,মৃত্যু ,রোগ ,শোক নাহিক বিপদ ।।
এতেক সুখিনী দেখী সতী খুল্লনার। যত নারী পূজে চন্ডি প্রতি মঙ্গলবার ।।
কামনা যাহার যেবা সব পূর্ণ হয়। চন্ডিকা দেবীরে পুঁজি জানিহ নিশ্চয় ।।
ধন মান পুত্র কন্যা প্রার্থী যাহা সবে। পুজিলে চন্ডিকা দেবী বাঞ্ছা পূর্ণ হবে ।।
এই পুণ্যকথা পাঠে পাপক্ষয় হয়। মঙ্গলচন্ডিকা নামে দাও জয় জয় ।।
সমাপ্ত হইলে এবে পাঁচালি বর্ণন। শঙ্খধ্বনি উলুধ্বনি দাও এয়োগণ ।।
ওঁ চন্ডিকায়ৈ নমঃ ।।

সুতরাং, আর অপেক্ষা না করে নিজের দেওয়া লিংক থেকে মঙ্গলচন্ডী পূজা পদ্ধতি pdf টি Download করুন।

DOWNLOAD: শ্রী শ্রী লক্ষ্মী দেবীর পাঁচালী PDF


You can download the মঙ্গলচন্ডী পূজা পদ্ধতি pdf the link given below:


Report This: If you have any problem with this pdf such as broken link/copyright material please feel free to contact us.